Add caption |
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। কে আগে তৈরি করবেন এই প্রতিষেধক, চলছে প্রতিযোগিতা। কয়েকটি দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। তবে এ দৌড়ে এগিয়ে আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা খুবই আশাবাদী, আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি অন্যদের আগেই শুরু করে অক্সফোর্ড। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর জানুয়ারিতেই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করে দেয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। কে আগে তৈরি করবেন এই প্রতিষেধক, চলছে প্রতিযোগিতা। কয়েকটি দেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। তবে এ দৌড়ে এগিয়ে আছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা খুবই আশাবাদী, আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি অন্যদের আগেই শুরু করে অক্সফোর্ড। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর জানুয়ারিতেই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করে দেয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট।
কোভিড-১৯-এর সমগোত্রীয় ভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকেরা। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভ্যাকসিনলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘ভ্যাকসিনটির বিষয়ে আমার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আছে। কারণ, এর প্রযুক্তি আমি আগেই ব্যবহার করেছি। সেখানে সফল হয়েছি।’ নতুন ভ্যাকসিন তৈরিতে করোনাভাইরাসের জেনেটিক উপাদান নেওয়া হয়েছে। পরে তা সাধারণ ঠান্ডার ভাইরাসে ইনজেকশন হিসেবে পুশ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মোডিফায়েড ভাইরাসটি কোভিড-১৯-এর অনুকরণে হবে। সেটি প্রকৃত কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সাফল্যের বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
একদল বানরের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে সুফল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেও এই ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটোও রয়েছেন। তিনি বেশ ভালো আছেন। কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়নি। এই ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেষমেশ আমি কিছু একটা করতে সমর্থ হয়েছি, আমার মধ্যে এমন এক অনুভূতি কাজ করছে। ভ্যাকসিন তৈরিতে অবদান রাখতে এভাবেই আমার সুযোগ হয়েছে।’
এদিকে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এখনো না মিললেও বসে থাকার সময় নেই প্রস্তুতকারীদের। তাই ভারতভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আগামী মাসেই অক্সফোর্ডের কয়েক লাখ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দেবে।
Post a Comment