-->
ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।

ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।

ভূমি উন্নয়ন কর (এলডিটি) জমা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে, এটি নির্ভর করে যে জমিটি শহরের সীমানায় বা জেলা সীমার মধ্যে, বা জেলার সীমার বাইরে গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। যাইহোক, জমির অবস্থান নির্বিশেষে এলডিটি প্রদানের জন্য একটি সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের ভুমি মন্ত্রানালয় কর্তৃক 2023 সালের ভুমি খাজনা আইনের অধিনে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারবে


জমির খাজনা কি ভাবে পরিশোধ করবেন?জমির খাজনা পরিশোধের জন্য দুইটি ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয় চালু করেছে।

ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।
ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।

 

  1. 1.   সরাসরি ভুমি ইউনিয়ন এবং ভুমি কমিশানার কাছে প্রধান করতে পারবেন।

  1. 2.   সরাসরি অনলাইনের মাধ্যেমে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবে।

অন-লাইনের মাধ্যেমে খাজনা পরিশোধের নিয়মঃ-

অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর

  1. 1     নাগনিরিক কনারে মাধ্যে https://ldtax.gov.bd/citizen/payment এর মাধ্যেমে আপনি আপার জমির খাজনা পরিশোধ করবে।

  • 2.       জাতিয় পরিচয় পত্র দ্বারা আপনার একটি নাগরিক কনারে রেজিষ্টশন করতে হইবে।

  1. 3.       আপনার জমির হল্ডোডিং নম্বা্র প্রধান করতে হইবে।

  1. 4.       আপনার জমির খতিয়ানের কপি আপলোড করতে হইবে।

  1. 5.       ইউনিয়ন ভুমি অফিসারে নিকট হইতে আপনার রেজিষ্টশন/ হলডিং নম্বার ভেরিফাই করে নিতে হইবে।

  1. 6.       হোল্ডিং ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনার পেমেন্ট পরিশোধ করার জন্য যে কোন মোবাইল ব্যাকিং দ্বারা টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

  1. 7     টাকা পরিশোধ হয়ে গেলে আপনাকে একটি খাজনা রশিদ প্রধান করবে। যা আপনার অথ© বছর সহ বিগত সকল বছরে খাজনা পরিশোধ হয়েছে ম©মে আপনাকে রশিদ প্রধান করবে ।  


    জমির খাজনা না দিলে কি হয়?

       অনেকে নির্দিষ্ট সময় পর খাজনা পরিশোধ করতে চায়না। আবার তাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে যারা ইচ্ছা করে জমির খাজনা দেয় না। কোন ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির খাজনা পরিশোধ করে না থাকেন তাহলে তার প্রতি সার্টিফিকেট মামলা হতে পারে। তাই অবশ্যই নিজের নামে জমি জমা থাকলে তার জন্য নিয়মিত করতে হবে

    বর্তমানে জমির খাজনা দেয়া অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে আপনারা চাইলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভূমি অফিসে গিয়ে সরাসরি খাজনা পরিশোধ করতে পারেন। যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করে জমির খাজনা বা কর না দিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করার পর তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ দিয়ে জমির খাজনা মওকুফ করতে হয় তারপর এসে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জমির খাজনা বা জমির কর পরিশোধ করতে হবে। 

    জমির কর পরিশোধ না করলে আপনার ব্যবিষ্যতে আপনার জমির মালিকানা হরাতে পারেন এবং খাজনা/কর পরিশোধ করলে পরবর্তি সময়ে যে কোন জরিপ আসলে আপনার খতিয়ান আপনার নামে বহাল থাকবে।

     তাই অবশ্যই জমির কর কখনো বাকি রাখা যাবে না। 


    ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।
    ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি ফরম।


     

     জমির খাজনা কত টাকা শতক

    যারা খাজনা দিতে চান তাদের অবশ্যই জমির খাজনা কত টাকা শতক সেটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে জমি হিসাবে কত টাকা খাজনা দিতে হবে সেটা খুব সহজেই বের করা সম্ভব হবে।বর্তমানে জমির খাজনা ১০ একর হতে ১৫ একর পর্যন্ত প্রথম ১০ একর এর জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশ জন্য ৬০ পয়সা করে এসব করা হয়ে থাকে

    তাছাড়া ১৫ একর থেকে ২৫ একর এর জন্য প্রথম ১৫ একর এর জন্য ৫৩১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য ৬০ পয়সা হিসাব করা হয়ে থাকে। যাদের জমি ২৫ একরের বেশি হয়ে থাকে তাদের ২৫ একর এর জন্য ১৪৮১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশে জন্য টাকা ৪৫ পয়সা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে

     এ ছাড়া মৌজা রেইট অনুয়াহি এবং জমির শ্রেনী হিসাবে খাজনা / কর দিতে হইবে। যেমন –শ্রেনী = আমন, বরী, লাকেয় পতিত, পতিত, বাড়ী, দোকান, পুকুর, বরন্ডী, ইত্যাদি।

     

     

    অনলাইনে কি জমির খাজনা দেওয়া যায়?

    আপনি অনলাইনে জমি ভাড়া পরিশোধ করতে পারেন। যাইহোক, এটি পরিশোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল আপনার স্থানীয় সরকারী অফিসে যাওয়া, যেখানে আপনার ভাড়া সঠিকভাবে প্রাপ্ত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য তারা পুরো প্রক্রিয়াটিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।  

     

    বাড়ির খাজনা কত ?

    বাড়ি ভাড়া আপনার অবস্থান, বাড়ির আকার এবং সম্পত্তির উপর নির্ভর করে গ্রাম বা শহর মৌজা, জমির পরিমান এবং জমির শ্রেনী উপর খাজনা সাধারণত খুব বেশি হয় না । 

     
     

    বাংলাদেশের ভূমি আইন বাংলাদেশের সংবিধান এবং 1885 সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। সংবিধান সম্পত্তির মালিকানার অধিকার প্রদান করে, এবং ভূমি অধিগ্রহণ আইন সেই প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে যার মাধ্যমে সরকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। ভূমি অধিগ্রহণ আইনে সরকারকে জমির মালিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, এবং আদালত সাধারণত এটিকে ন্যায্য বাজার মূল্য বোঝাতে ব্যাখ্যা করেছে।
    সরকার শুধুমাত্র জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে পারে, এবং এটি অবশ্যই জমির মালিকদের নোটিশ এবং কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শোনার সুযোগ প্রদান করবে। সরকারকে অবশ্যই জমির মালিকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এবং আদালত সাধারণত এটিকে ন্যায্য বাজার মূল্য বোঝাতে ব্যাখ্যা করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করছে, যেমন হাউজিং এস্টেট এবং শপিংমল৷ এটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ অনেক জমির মালিক তাদের জমি বাজার মূল্যের কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।

    ভূমির খাজনা অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম।ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি।

    বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশটির পশ্চিম, উত্তর এবং পূর্বে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমারের সীমানা রয়েছে। বাংলাদেশের একটি ভূমি এলাকা 147,570 বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা 168 মিলিয়নেরও বেশি, যা এটি বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর।


    বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা ইংরেজি সাধারণ আইনের উপর ভিত্তি করে, যার কিছু মুসলিম আইনের প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান 1972 সালে গৃহীত হয়েছিল এবং একটি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশ কমনওয়েলথ অফ নেশনস, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা এবং জাতিসংঘের সদস্য।

    বাংলাদেশের ভূমি আইন বাংলাদেশ ভূমি কোডে সংহিত করা হয়েছে। কোডটি বাংলাদেশে জমির মালিকানা, ব্যবহার এবং হস্তান্তর নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ম ও প্রবিধানগুলি নির্ধারণ করে। কোডটি চারটি ভাগে বিভক্ত: (1) সাধারণ বিধান; (2) জমির শিরোনাম নিবন্ধন; (3) জমি রেকর্ড; এবং (4) বিবিধ বিধান।

    ল্যান্ড কোড প্রদান করে যে বাংলাদেশের সমস্ত জমি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন। রাষ্ট্র ব্যক্তি বা কর্পোরেশনকে 99 বছরের বেশি না সময়ের জন্য জমি লিজ দিতে পারে। কোডটি জমির শিরোনাম নিবন্ধন এবং জমির রেকর্ড রাখার নিয়মও নির্ধারণ করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post